হত দরিদ্রদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সরকারি ত্রাণসামগ্রী দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে রামপাশা ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য আছারুন নেছার বিরুদ্ধে। অন্যদিকে যারা তাকে টাকা দিতে অপারগতা জানাচ্ছেন তাদেরকে ত্রাণ না দিয়ে অপমান করে বিদায় করে দিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। এছাড়া ওয়ার্ডের একাধিক নাগরিকের নিকট থেকে টাকা ধার নিয়ে সেটাও আর ফিরিয়ে দেন না বলে ও অভিযোগ শোনা যাচ্ছে।এমন বিস্তর অভিযোগ এনে রামপাশা ইউনিয়নের ওই নারী সদস্যের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।মঙ্গলবার (১২ মে) ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের পক্ষে আজিজুর রহমান নামের এক মুরব্বি এই লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ২নং ওয়ার্ডের ৮২জন স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুজ্জামানের নিকট দাখিল করেছেন।
বিজ্ঞাপন
টাকা নিয়ে ত্রাণ বিতরণ ছাড়াও অভিযোগে, আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আমতৈল গ্রামের ফকির টিল্লা গার্ড ওয়াল নির্মাণে ওই গ্রামের মঈন উদ্দিনের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা, এলকাছ মিয়ার শাশুড়িকে বয়স্ক ভাতার প্রলোভনে ১০ হাজার টাকা, গভীর নলকূপ দেওয়ার কথা বলে আবিদুল হকের নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা, মজলু মিয়াকেও গভীর নলকূপ দেওয়ার কথা বলে ৭ হাজার টাকা, প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার কথা বলে সোহেল আহমদের নিকট থেকে ২ হাজার টাকা এবং সাইফুল ইসলামের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা ধার নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন ইউপি সদস্য আছারুন।এ প্রসঙ্গে বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আছারুন নেছার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। রাত ১০টা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত যতবারই ফোনে কল দেওয়া হয়েছে, ততোবারই তিনি ফোনকল কেটে দিয়েছেন।তবে, অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুজ্জামান। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: রমজান আলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।