ঢাকামঙ্গলবার , ১২ মে ২০২০
  1. International
  2. অন্যান্য
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উৎসব
  6. খেলাধুলা
  7. চাকুরী
  8. জাতীয়
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম
  11. পরামর্শ
  12. প্রবাস
  13. ফরিদপুর
  14. বিনোদন
  15. বিয়ানীবাজার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তাঁরা ছিলেন একে অপরের আন্তরিক বন্ধু! আব্দুস সালাম আযাদ..

Link Copied!

এক.
আল্লামা মুহীউদ্দীন খান রহ.। নিজ ভূমে উপেক্ষিত হলেও আন্তর্জাতিক বিশ্বে রয়েছে তাঁর ব্যাপক পরিচিতি ও যশখ্যাতি। ইসলামী দুনিয়ায় বাঙ্গালীদের মধ্যে আল্লামা মুহীউদ্দীন খান রহ.-ই একক ব্যক্তি। যিনি ছিলেন তাদের কাছে সম্মানীয় ও বরণীয়। তাই তো রাবেতায়ে আলমে ইসলামীর বাংলাদেশের প্রতিনিধি কেবলমাত্র আল্লামা মুহীউদ্দীন খানই ছিলেন। যা ছিল বাংলাদেশের এক বিরাট অর্জন।

আল্লামা মুহীউদ্দীন খান রহ. ছিলেন কিংবদন্তির অগ্রনায়ক। জ্ঞানে-গুণে আত্মগরীমায় ছিলেন অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব। মানবসেবা, সাহিত্য-সাংবাদিকতা ও রাজনৈতিক ময়দানের এক বিপ্লবী সাহসওয়ার। এতোসব কর্মের কারণেই আজ তিনি দেশের কাছে, দশের কাছে বরণীয় হয়ে আছেন। গ্রামবাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে তিনি ছিলেন পরিচিত ব্যক্তি। ইসলামী তাহযীব ও তামাদ্দুন প্রতিটি ঘরে পৌঁছানোর লক্ষেই ছিলো স্বীয় সম্পাদিত মাসিক মদীনার আত্মপ্রকাশ।

দুই.

মাসিক মদীনার কল্যাণেই এ দেশের জনগণ সত্যিকারের ইসলামের সন্ধান পেয়েছে। যার বাস্তবতা স্বীকার এদেশের লোকজন করবে বলে আমার আত্মবিশ্বাস। তখনকার যুগে মাসিক মদীনাই ছিলো ধর্মীয় মাসআলা মাসাঈল জানার একমাত্র হাতিয়ার। আল্লামা মুহীউদ্দীন খান রহ. ধর্মবিষয়ক নানা জিজ্ঞাসার বিশ্লেষণমূলক সারগর্ভ সমাধান দিতেন। যার শিরোণাম ছিলো যুগ-জিজ্ঞাসার সমাধান নামে। পরবর্তীতে এগুলোকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করা হয়। এ থেকে কত যে উপকৃত হয়েছে তা বলাই বাহুল্য।

মাসিক মদীনা ছিলো সর্বশ্রেণীর প্রিয় ইসলামী ম্যাগাজিন। মাসিক মদীনা পাঠকসমাজে এমন সমাদৃত হয়েছিলো যে, মাসের শেষেই চলতো অপেক্ষার প্রহর! কবে জানি এ মাসেরটা হাতে এসে পৌঁছে। কোন এক সংখ্যা আসতে যদি বিলম্ব হয়ে যায় তাহলে সম্পাদক বরাবরে চিঠি লেখার কসরতও চলতো। কেন বিলম্ব হচ্ছে কৈফত চেয়ে। খোদ বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের শ্রদ্ধেয় পিতা শেখ লুৎফুর রহমান তো ছিলেন মাসিক মদীনার একজন অন্ধভক্ত। কোন কারণে লাগাতার কয়টি সংখ্যা না পেয়ে অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছিলেন। ভগ্নহৃদয়ে সম্পাদক বরাবরে পত্র লিখলেন। এও বলে দিলেন আমি আপনার পাওনা টাকা পরিশোধ করতে মুজিবকে বলে দিব। সে অবশ্যই তোমাকে পাওনা মিটিয়ে দিবে। আর হ্যাঁ আপনি পত্রিকা দিতে বিলম্ব করবেন না। এমন আকুতিই ছিলো মাসিক মদীনা সম্পর্কে মুজিবের শ্রদ্ধেয় পিতার। উভয় বাংলায় মাসিক মদীনা ছিলো বহুল প্রচারিত। তখন ছিলো এখনো আছে।

তিন.

আল্লামা মুহীউদ্দীন খান রহ. মানবসেবা তথা সমাজসেবাকে ইবাদাত মনে করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে বিদেশে তিনি অনেক হতদরিদ্র উদ্ভাস্তুদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছিলেন। নিজের গাঁটেরপয়সা খরচ করে অথবা চাঁদা কালেকশন করে তাদের অন্নবস্ত্র ও বাসস্থানেরর ব্যবস্থা করে দিতেন। নিজ এলাকা গফরগাঁওয়ের আনসার নগরে প্রায় চারহাজার গরীবদের সাহায্যার্থে একটি সেবামূলক ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন। সম্পূর্ণ নিজস্ব তহবিলে। যার সেবা সেখানকার লোকজন এখনো পাচ্ছে। ইনশা আল্লাহ ভবিষ্যতেও তাঁর সন্তানদের মাধ্যমে এধারা অব্যাহত থাকবে।

খাগড়াছড়িতে নৌমুসলিমদের আর্থিক সহায়তাকল্পে তাওহিদ মিশন নামেও একটি সংস্থা গঠন করেছিলেন। সাড়ে তিনশত নৌমুসলিমদের ব্যয়ভার নিজ অর্থেই বহন করেছিলেন। এছাড়াও কত যে সাহায্যপ্রার্থীদের সহায়তা করেছিলেন তার কোন হিসেব নেই। এমন মহানুভব ব্যক্তি সমাজে নাই বললেই চলে। আল্লাহ এতো প্রশস্ত মনের অধিকারী তাঁকে বানিয়েছিলেন। ইন্তেকালের পরবর্তীসময়ে তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে মাত্র ১৪০ টাকা পাওয়া গিয়েছে। জীবনের কামাইকৃত সব অর্থ অপরের তরে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। নিজের জন্যে রেখে যান নি কোন অর্থবৈভব। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই ছিলো তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এক্ষেত্রে তাঁকে কিংবদন্তির অগ্রনায়ক বললে মোটেও অত্যুক্তি হবে না।

চার.

আল্লাহপাক রাব্বুল আলামীন এ পৃথিবীতে এমনও কিছু ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্বকে সৃষ্টি করেছেন, যারা দ্বীনের খিদমাতের জন্য জীবনবাজি রেখেছেন। দ্বীনের প্রচার-প্রসার সমাজের রন্ধ্রেরন্ধ্রে পৌঁছানোর লক্ষ্যেই মৃত্যুঅবধি আপন অস্তিত্ত্বকে বিলীন করে দিচ্ছেন। নিজের আরাম কে হারাম করে সমাজের প্রতিটি সেক্টরে যোগ্য ও আদর্শ নাগরিক উপহার দিতে যারা প্রতিনিয়ত মেহনত চালিয়ে যাচ্ছেন। সদাসর্বদা যাদের এই ফিকির – কীভাবে সমাজ-পরিবেশ ইসলামের আলোকে গড়ে তুলা যায়। কীভাবে সাম্য-শান্তি ও ইনসাফপূর্ণ একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়। যে সমাজে যে পরিবেশে শান্তি-শৃঙ্খলা, সহমর্মিতা ও সৌহার্দ্যের জয়জয়কার থাকবে। থাকবে না কোনপ্রকারের অশান্তি ও অশ্লীলতার ছড়াছড়ি। একদম নীরেট নিখাঁদ ও পঙ্কীলতামুক্ত পরিবেশ। তাই এমন সমাজ প্রবর্তনের জন্য প্রয়োজন ইলমে ওয়াহির ধারক-বাহক একঝাঁক উলামায়ে কেরামের। যাদের সরব পদচারণায় দলিত মতিত হবে অন্যায় অবিচার। প্রতিষ্ঠিত হবে সত্য ও সুন্দরের পুষ্পোদ্যান। তাদের আচার-আচরণে প্রকাশ পাবে নববী শিষ্টাচার। এমন স্বপ্ন যারা নীরবে নিভৃতে লালন করে জীবনের সিংহভাগ সময় পার করে যাচ্ছেন তাঁদেরই একজন মুফাক্কিরে ইসলাম আল্লামা শায়খ যিয়াউদ্দীন দা.বা.।

পাঁচ.

মুফাক্কিরে ইসলাম আল্লামা শায়খ যিয়াউদ্দীন। একটি নাম। একটি প্রতিষ্ঠান। একটি আন্দোলন। একটি তরজুমান। সর্বোপরি একটি ফিকরী পাওয়ার হাউস। যার চিন্তা-চেতনা, চলা-ফিরা, আচার-ব্যবহার, কথা-বার্তা প্রতিটি কাজেই রয়েছে সবক হাসিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ পাথেয়। সঞ্চয় করা যাবে অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে জীবন পরিচালানার মানানসই টিপস্। যা কাজে লাগবে। প্রেরণা যোগাবে। নিয়ে যাবে শিকড় থেকে শিখরে।

মুফাক্কিরে ইসলামের ইলমি খিদমাতের আজ চুয়ান্ন বছর। এতোগুলো বছর ব্যয় করলেন মুফাক্কিরে ইসলাম ইলমেদ্বীনের খিদমাতে। জীবনের পড়ন্ত বিকেলে এসে উপণীত। এতো দীর্ঘ সময় নীরবে নিভৃতে মানুষ গড়লেন। আদর্শ মানুষ। উপহার দিলেন সমাজ জাতিকে স্বর্ণমানবদের। যারা নিখাঁদস্বর্ণ। তাতে নেই কোন ভেজাল। সমাজ-জাতিও পেয়েছে তার দক্ষহাতে নির্মিত হাজার হাজার পণ্য। যে গুলো গুণেমানে অনন্য সেরাদের সেরা। এমনসব পণ্যের চাহিদা আগেও ছিলো এখনও আছে। গ্রাহকরা লেবেল দেখে। মেডইন আঙ্গুরা সবাই চায়। কারণ কারিগর মুফাক্কিরে ইসলাম আল্লামা শায়খ যিয়াউদ্দিন হাফিজাহুল্লাহ।

ছয়.

আল্লামা মুহিউদ্দীন খান রাহ. ও আল্লামা শায়খ যিয়াউদ্দীন হাফিজাহুল্লাহর মধ্যকার সম্পর্ক ছিলো খুবই অটুট, সুদৃঢ়। তাঁরা একে অপরে ছিলেন আন্তরিক বন্ধু। পরম হিতাকাঙ্ক্ষী। সুখে দুঃখে তাঁরা ছিলেন আত্মার আত্মীয়। দেশ ও দশের চরম দুর্দিনে তাঁরা ছিলেন ত্রানকর্তার ভূমিকায়। আকাবির আসলাফের রেখে যাওয়া আমানত জমিয়তের প্রচার প্রসারে তাঁরা কাঁধে কাঁধ রেখে একযোগে কাজ করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে আল্লামা মুহিউদ্দীন খান রাহ. মুফাক্কিরে ইসলাম আল্লামা শায়খ জিয়াউদ্দীনের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করতেন। একে অপরের প্রতি ছিলেন পরম আস্থাভাজন। বয়সের বিবেচনায় খান সাহেব সিনিয়র। আর আল্লামা যিয়াউদ্দীন হাফিজাহুল্লাহ জুনিয়র।

তাঁদের মধ্যে সিনিয়রিটি আর জুনিয়রিটির কোনো ফারাক ছিলো না। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার এক অপূর্ব সেতুবন্ধন ছিলো তাঁদের মাঝে। আল্লামা মুহিউদ্দীন খান রহ. আল্লামা শায়খ জিয়াউদ্দীন হাফিজাহুল্লাহকে এতোটা ভালোবাসতেন তার একটি প্রমাণ নিম্নে উল্লেখ করছি-

মুহিউদ্দীন খান ছিলেন আত্মিক ও চারিত্রিক গুণে গুণান্বিত। ছিলেন সততা ও নিষ্ঠার অত্যুজ্জ্বল আদর্শ। লেন-দেন, আমানত ও দিয়ানতের ক্ষেত্রে ছিলেন সজাগ-সচেতন। কারো কাছ থেকে ঠেকায় পড়ে ঋণ নিলেও যথাসময়ে পরিশোধে বিলম্ব করতেন না। কোনোধরণের টালবাহানার আশ্রয় নিতেন না। কর্মীদের ঠকিয়ে নিজের উদরপূর্তির আয়োজনে ব্যস্থ থাকতেন না। রক্ষক হয়ে ভক্ষকের চরিত্রে অভিনয় করতে পারতেন না। পরোপকার ও পরম হিতৈষীর ভূমিকায় সর্বাগ্রে থাকতো তাঁর অবস্থান। নিজের কামাইকৃত অর্থকড়ির বেশির ভাগ অংশ ব্যয় হতো গরীব দুঃখীর ঘরে। এতোসবের কারণেই মুহিউদ্দীন খান দেশ-জনতার হৃদয়ের গভীরে আসীন হয়েছিলেন। বরিত হয়েছিলেন ১৬ কোটি অন্তরের উষ্ণ ভালোবাসায়।

সাত.

তাইতো আমরা দেখেছি যেকোনো সময়ে যেকোনো মুহূর্তে মুহিউদ্দীন খানের ডাকে সমাজের ধনিক-বণিক থেকে নিয়ে আম-জনসাধারণ পর্যন্ত পিচঢালা পথে প্রতিবাদ-প্রতিরোধে শরীক হতে। সফলতায় পূর্ণ হতো মুহিউদ্দীন খানের একেকটি আন্দোলন। একেকটি সংগ্রাম। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতো এসব আন্দোলন।

২০০৫ সালের ৯ও ১০ মার্চে নদী আগ্রাসন প্রতিরোধ কমিটির ডাকে যে লংমার্চ হয়েছিলো, তার ঘোষক ছিলেন আল্লামা মুহিউদ্দীন খান। সিলেট জেলা জমিয়তের এক মহাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন। তখন তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রিয় নির্বাহী সভাপতি ছিলেন। ব্যানার ছিলো নদী আগ্রাসন প্রতিরোধ কমিটির নামে। কাজ-কর্মের দায়ভার ছিলো প্রতিটি জমিয়ত কর্মীদের কাধে ন্যস্থ। দেখুন! সর্বদলীয় একটা আন্দোলনে আল্লামা মুহিউদ্দীন খান রাহ. নিজ দল জমিয়তকে কতটুকু মূল্যায়ন করেছিলেন। জমিয়তকে আগে প্রাধান্য দিয়েছেন। বিশ্বাসঘাতকতা করেন নি নিজ দল জমিয়তের সঙ্গে। আর আজ! কৃত্রিম মুহিউদ্দীন খানের আদর্শের দাবীদাররা নিজ দলের সঙ্গে গাদ্দারী করতে মরিয়া। আহ! এসব কী হচ্ছে!!

আট.

মুহিউদ্দীন খান নেতৃত্বের প্রভাব খাটান নি। হুমকী-দমকী দিতে যান নি অধিনস্থদের। নিজদলের কর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করে কর্মসূচি প্রণয়ন করতেন। সিনিরিটি জুনিয়রিটির প্রাচীর রাখতেন না। সকলের পরামর্শের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতেন। রাজধানীর মুহিউদ্দীন খান সিলেটের অজোপাড়ার যিয়াউদ্দীনের সঙ্গে পরামর্শ করতে দ্বিধা করতেন না।

তিনি লংমার্চের সিলেট বিভাগীয় বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক করেছিলেন আল্লামা শায়খ জিয়াউদ্দীন হাফিজাহুল্লাহকে। তিনি জানতেন, শায়খ জিয়াকে এ দায়িত্ব দিলে লংমার্চের কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে। আর বাস্তবেও আল্লামা শায়খ জিয়াউদ্দীন লংমার্চের সব কাজ নিজের মনে করে করেছিলেন। যার দরুণ দেশবাসী একটি সুন্দর ও সফল লংমার্চ নিজচোখে প্রত্যক্ষ করেছিলো।

নয়.

আল্লামা শায়খ জিয়াউদ্দীন হাফিজাহুল্লাহ
আল্লামা মুহিউদ্দীন খান রাহ. কে এতবেশি
মুহাব্বাত করতেন যার দৃষ্টান্ত আমি লিখে শেষ করতে পারবো না। বিগত ২০১১ ঈসায়ী সালের ফব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুরের পঞ্চাশবছর পূর্তি ও দস্তারবন্দী মহাসম্মেলন। এতে আল্লামা মুহিউদ্দীন খান রাহ.কে আল্লামা জিয়াউদ্দিন হাফিজাহুল্লাহ বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন। আর আল্লামা মুহিউদ্দীন খান রাহ.ও অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে প্রিয় বন্ধুকে খুশী করেছিলেন। খান সাহেবের হৃদয়কাড়া সেদিনের আলোচনা এখনো কানে বাজে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে সামনে রেখে শিক্ষানীতি সম্পর্কে যে বক্তব্য রেখেছিলেন, সে বক্তব্যের কথা এখনো লোকমুখে চর্চিত হয়।

আল্লামা মুহিউদ্দীন খান রাহ.’এর সংগ্রামী
জীবনের অনেক নাজানা আখ্যান উপখ্যান আমাদের শুনাতেন আল্লামা শায়খ জিয়াউদ্দীন হাফিজাহুল্লাহ। তিনি যখন তাঁর কথা বলতেন, তখন তাঁর চোখ দিয়ে ঝরঝর করে অশ্রু পড়তো। আবেগতাড়িত হয়ে যেতেন খান সাহেবের আলোচনায়। আমাদে বলতেন, দেশ ও জাতির স্বার্থে, জমিয়তের স্বার্থে হযরত খান যে নিঃস্বার্থ অবদান রেখে গেছেন তা যুগ যুগ ধরে এদেশের মানুষের কাছে ইতিহাস হয়ে থাকবে।

লেখক: মাওলানা আব্দুস সালাম আযাদ
ফাযিল জামেয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মাদপুর
dak bangla logo