সিলেটের ঐতিহ্যবাহী দ্ধীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজির বাজার মাদরাসার সুনামধন্য সিনিয়র মুহাদ্দিস বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ বলেছন যে,”আহলে হাদীস ভাইদের প্রতি, আসুন ঐক্যের পরিধি বাড়িয়ে দেই”আমার পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে এক ভাই ইনবক্সে চমৎকার একটি প্রশ্ন করেছেন,ماواظب عليه النبي صلى الله عليه وسلم রাসুলুল্লাহ সঃ সর্বদা যে কাজ করেছেন, তা সুন্নাতে মুয়াককাদাহ, তারাবীহ তো মাত্র তিন রাত্রি পড়েছেন, তা সুন্নাতে মুয়াককাদাহ কিভাবে হল?
এব্যাপার হাকিমুল উম্মাত আশরাফ আলী থানবী রহ বলেন,প্রিয় নবী সঃ তেইশ,পচিশ এবং সাতাশ রমজান তারাবীহ নামাজ জামাত সহকারে আদায় করেন,আটাশ রমযান এশার নামাজ আদায়ের পর নবীজি মসজিদে নববীতে এতেকাফের জন্য নির্মিত তাবুতে প্রবেশ করেন, সাহাবায়ে কেরাম সাহরী পর্যন্ত অপেক্ষা করেন,ফজরের নামাজ আদায় করে নবী সঃ বলেন,তোমরা অপেক্ষা করেছ, আমি জানি কিন্তু আমি বের হয়নি, আমি ভয় করছি হয়তো তোমাদের উপর তারাবীহ ফরজ হয়ে যাবে।
প্রিয় নবীর মনের তামান্না ছিল তারাবীহ নামাজ সম্পুর্ন রমযান জামাত সহকারে আদায় করার,কিন্তু উম্মতের উপর দয়া পরবশ হয়ে আদায় করেন নি,নবীজির মনের তামান্না হযরত উমর রাঃ পুর্ণ করেছেন, বিশ রাকাত তারাবীহ জামাতসহ আদায়ের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন,।
নবী সঃ যে সমস্ত আমল সর্বদা করেছেন তা দু ধরনের,এক বাহ্যিকভাবে,অপরটি পরোক্ষভাবে, তারাবীহ বিশরাকাত নামাজ সারা রমযান বাহ্যিকভাবে আদায় না করলে ও মনের তামান্না হিসাবে পরোক্ষভাবে সর্বদা আদায় করেছেন, তাই তা সুন্নাতে মুয়াককাদাহ।
আল্লাহ আমাদের শান্ত মেজাজে বিষয়টি বুঝার তাওফিক দিন।
লেখক:লেখকঃসিনিয়র মুহাদ্দিস-জামিয়া মাদানিয়া কাজির বাজার,সিলেট