Dhaka ০৮:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষক সম্মানী ও দূর্যোগের সময়োচিত প্রত্যাশা.তাওহীদুর রহমান শাহ্..

বর্তমান করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে সরকার দেশের সকল শিক্ষাপীঠ বন্ধ ঘোষণা দিয়েছেন গত মার্চের দ্বিতীয় পক্ষে। কিন্ডারগার্টেন স্কুল, সরকারি স্কুলের সমান্তরালে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখছে শিক্ষা বিস্তারে সেকথা অল্পবিস্তর সকলেরই জানা।

এহেন পরিস্থিতিতে আজ দেখলাম গোলাপগঞ্জ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন বিশেষতঃ শিক্ষকমণ্ডলীর জীবনযাপনের চিত্র তুলে ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে সাহায্য চেয়েছেন যথাযথ পদক্ষেপ নেবার। এর আগেও সরকারের কাছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর দাবী ছিল ৫০ কোটি টাকা প্রণোদনা প্রদানের যা সারাদেশের প্রায় ছয় লক্ষ শিক্ষকদের মাথা প্রতি ৮৩৩.৩৪ টাকা করে পড়ত। এ সিদ্ধান্তগুলো বিবেচনায় এনে যদি সরকার কর্তৃক আমরা কোনো সাড়া পাই তবে উপকৃত হব।

এখন আসি কিছু তিক্ত অথচ চরম বাস্তবতায়।
সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে নিজেদের ব্যর্থতা ঘুচবার সময় অন্তত এখন না। বলছি সম্মানিত পরিচালকবৃন্দের কথা।

প্রতিবছর জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি বাবৎ যে মোটা অঙ্কের মুনাফা গুনেন তার কিয়দংশও আমরা শিক্ষকরা পাই না যদিও ছাত্রছাত্রী সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভর্তি নিশ্চিত করতে আমাদের ভূমিকাকে ছোট করে দেখার কিছু নাই। এটা সকলেই জানেন যে, সকল প্রতিষ্ঠানেই প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয়ের খরচাপাতি শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন থেকে দেওয়া হয়ে থাকে। পরিচালকদের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানগুলো যেখানে আমার যতদূর জানা, খুব কম সময়ে নিজেদের টাকা ভর্তুকি দিয়ে স্কুল চালাতে হয়।

তাই এই সংকটময় মুহূর্তে আমার জোরদাবি সকল কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিচালকদের প্রতি, আপনারা ভর্তুকি দিয়ে হলেও শিক্ষকদের মাসিক বেতন প্রদান করুন৷ নতুবা আমাদের দুর্দিনে যদি পাশে না থাকেন তবে মনে রাখবেন আপনাদের সুদিনে অনেকেই আপনাদের ত্যাগ করতে দ্বিধাবোধ করবেন না৷

লেখক:তাওহীদুর রহমান শাহ্
dak bangla logo

Tag :
About Author Information

গোলাপগঞ্জে রাস্তা নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

শিক্ষক সম্মানী ও দূর্যোগের সময়োচিত প্রত্যাশা.তাওহীদুর রহমান শাহ্..

Update Time : ০৮:০২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মে ২০২০

বর্তমান করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে সরকার দেশের সকল শিক্ষাপীঠ বন্ধ ঘোষণা দিয়েছেন গত মার্চের দ্বিতীয় পক্ষে। কিন্ডারগার্টেন স্কুল, সরকারি স্কুলের সমান্তরালে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখছে শিক্ষা বিস্তারে সেকথা অল্পবিস্তর সকলেরই জানা।

এহেন পরিস্থিতিতে আজ দেখলাম গোলাপগঞ্জ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন বিশেষতঃ শিক্ষকমণ্ডলীর জীবনযাপনের চিত্র তুলে ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে সাহায্য চেয়েছেন যথাযথ পদক্ষেপ নেবার। এর আগেও সরকারের কাছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর দাবী ছিল ৫০ কোটি টাকা প্রণোদনা প্রদানের যা সারাদেশের প্রায় ছয় লক্ষ শিক্ষকদের মাথা প্রতি ৮৩৩.৩৪ টাকা করে পড়ত। এ সিদ্ধান্তগুলো বিবেচনায় এনে যদি সরকার কর্তৃক আমরা কোনো সাড়া পাই তবে উপকৃত হব।

এখন আসি কিছু তিক্ত অথচ চরম বাস্তবতায়।
সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে নিজেদের ব্যর্থতা ঘুচবার সময় অন্তত এখন না। বলছি সম্মানিত পরিচালকবৃন্দের কথা।

প্রতিবছর জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি বাবৎ যে মোটা অঙ্কের মুনাফা গুনেন তার কিয়দংশও আমরা শিক্ষকরা পাই না যদিও ছাত্রছাত্রী সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভর্তি নিশ্চিত করতে আমাদের ভূমিকাকে ছোট করে দেখার কিছু নাই। এটা সকলেই জানেন যে, সকল প্রতিষ্ঠানেই প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয়ের খরচাপাতি শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন থেকে দেওয়া হয়ে থাকে। পরিচালকদের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানগুলো যেখানে আমার যতদূর জানা, খুব কম সময়ে নিজেদের টাকা ভর্তুকি দিয়ে স্কুল চালাতে হয়।

তাই এই সংকটময় মুহূর্তে আমার জোরদাবি সকল কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিচালকদের প্রতি, আপনারা ভর্তুকি দিয়ে হলেও শিক্ষকদের মাসিক বেতন প্রদান করুন৷ নতুবা আমাদের দুর্দিনে যদি পাশে না থাকেন তবে মনে রাখবেন আপনাদের সুদিনে অনেকেই আপনাদের ত্যাগ করতে দ্বিধাবোধ করবেন না৷

লেখক:তাওহীদুর রহমান শাহ্
dak bangla logo