ঢাকাসোমবার , ৪ মে ২০২০
  1. International
  2. অন্যান্য
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উৎসব
  6. খেলাধুলা
  7. চাকুরী
  8. জাতীয়
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম
  11. পরামর্শ
  12. প্রবাস
  13. ফরিদপুর
  14. বিনোদন
  15. বিয়ানীবাজার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লকডাউন জীবনের এই ৭ অভ্যাস আজীবন কাজে দেবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ৪, ২০২০ ৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বিশ্বজুড়ে প্রলয় সৃষ্টি করেছে ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক জীব নভেল করোনাভাইরাস। দেশে দেশে চলছে লকডাউন। ঝড় একদিন থামবে, লকডাউনও উঠে যাবে। কিন্তু তখন নিয়মকানুন শিথিল হলেও আমাদের মাথায় রাখা দরকার, সরকারি নিয়ম যাই হোক না কেন, ব্যক্তিগত ভাবেও আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে। লকডাউন থাকুক বা না থাকুক, নিরাপদ থাকার জন্য আমাদেরই সাবধান হত‌ে হবে। কারণ, সংক্রমণ আপাতত কমে গেলেও পরে যে তা আবার বাড়বে না বা নতুন কোন ভাইরাসের আক্রমণ ঘটবে না তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই লকডাউন উঠে গেলেও আমাদের কিছু সাবধানতা আজীবন মেনে চলতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

১) যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকতে হবে: সরকারি ভাবে লকডাউন শেষ হওয়ার পরেও কিন্তু বহু সংস্থাই তাদের কর্মীদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালিয়ে যেতে বলবে। আপনি যদি তেমনই কোনো সংস্থায় চাকরি করেন, তা হলে এখন সেলফ-কোয়রেন্টিনের যে নিয়মগুলো মেনে চলছেন, সেগুলোই চালিয়ে যেতে হবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোবেন না। বেরোলেও দ্রুত কাজ শেষ করে ঢুকে পড়ুন ঘরে।

২) হাত ধোওয়ার অভ্যাস ছাড়া যাবে না: কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা আগের চেয়ে বহুগুণে বেড়েছে। সেই অভ্যাস লকডাউন উঠে গেলেও বজায় রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ঢুকে জামাকাপড় বদলে ফেলুন, সাবান দিয়ে খুব ভালো করে হাত-পা ধুয়ে ফেলুন। এমনকি, করোনা-আতঙ্ক পুরোপুরি কেটে গেলেও এই অভ্যাসটা ধরে রাখতে হবে। তাতে আরো অনেক রোগ-ব্যাধি থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

৩) মাস্ক পরতে হবে নিয়মিত: মাস্ক পরা বন্ধ করা উচিত হবে না। কোনো কারণে বাড়ির বাইরে যেতে হলে মাস্ক বা ওড়না বা স্কার্ফ দিয়ে ভাল ভাবে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন। তাতে শুধু কভিড-১৯ নয়, বাতাসের ধুলো, ময়লা, দূষণের হাত থেকেও রক্ষা পাবেন। সুস্থ থাকবে ফুসফুস।

৪) ভিড় এড়িয়ে চলার অভ্যাস বজায় রাখুন: করোনার কারণে ভিড় বা জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলা আমরা শিখে গেছি। আতঙ্ক কাটলেও এই অভ্যাসটা ধরে রাখতে হবে। দোকান-বাজারে বেশি লোক জমে গেলে দূরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করুন। বা, অন্য দোকানে যান। বাস, ট্রেন বা গণপরিবহণে অতিরিক্ত ভিড় থাকলে উঠবেন না। সে জন্য হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে বেরবেন। যাতে ফাঁকা পরিবহণ না পেলে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে পারেন।

৫) স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন সব সময়: সর্দি-কাশি হলেই রুমাল বা টিস্যু পেপার সঙ্গে রাখুন। হাঁচি, কাশির সময় মুখ, নাক ঢেকে নিতে ভুলবেন না। একাধিক রুমাল সঙ্গে রাখুন। যাতে প্রয়োজন হলে বদলে নিতে পারেন। রুমাল প্রতি দিন ব্যবহারের পর ভাল ভাবে পানিতে ধুয়ে ও রোদে শুকিয়ে নেবেন।

৬) রেস্তোঁরা, পাব, পার্টি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে: লকডাউনে আপাতত বেশ কয়েক মাস এই সব জায়গায় আমরা যাচ্ছি না। আতঙ্ক কেটে গেলেও এটা যথা সম্ভব বজায় রাখতে হবে। শুধু রেস্তোঁরা বা পার্টিই নয়, এড়িয়ে চলতে হবে সিনেমাহল বা থিয়েটারও। ভিড় বেশি হয়, এমন সব জায়গাই এড়িয়ে চলতে হবে। বাড়িতেও বড় পার্টি, বেশি লোকজনের দাওয়াত করা, এই সব কিছু দিনের জন্য হলেও বন্ধ রাখতে হবে।

৭) লকডাউন উঠলেই বাইরে বেড়াতে যাবেন না: লকডাউন শেষ হলেই মুক্তি পেয়েছেন ভেবে হুট করে বাক্স, প্যাঁটরা নিয়ে বাইরে ক’দিনের জন্য বেড়াতে চলে যাবেন না। আপাতত আরও কয়েক মাস নিরাপদ বাড়ি বা নির্দিষ্ট এলাকার ঘেরাটোপেই থাকুন। এমনকি আজীবনের জন্য এই অভ্যাস রাখুন। কিছুটা হলেও কাজে দেবে।

সূত্র- আনন্দবাজার।